ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

অপসারণ দাবিতে পরিষদ বর্জন ১০ মেম্বারের

রামু চাকমারকুল ইউপি সচিব সরুপার লাগামহীন দূর্নীতি

বার্তা পরিবেশক :: রামুর চাকমার কুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সরুপা পালের লাগামহীন দূর্নীতি, প্রকল্পের ও বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসুচির উপকারভোগিদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন, ইউপি সদস্যদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম বন্ধে পরিষদের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরতি পালন করছেন ১০ জন ইউপি সদস্য।

গত ১ ডিসেম্বর থেকে তারা কর্ম বিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে। অনতিবিলম্বে অসাধু সচিবকে অপসারণ করা না হলে বৃহত্তর কমর্সূচি ঘোষনার মাধ্যমে আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন ১০ জন ইউপি সদস্য। দ্রুত পরিষদ সচিব সরুপার নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও আত্মসাতের ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ১০ ইউপি সদস্য।

অভিযোগকারি সদস্যরা হলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের যথাক্রমে বেলাল উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন,নুরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, রাশেদুল হক,মইনুল আলম,নুরুল আমিন, আল মর্জিনা,গুলজার বেগম,এবং মরিয়ম বেগম।

চাকমারকুল ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেলাল উদ্দিন জানান, আমাদের পরিষদের সচিব সরুপা পাল দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ এখানে চাকুরী করছেন। কোন মেম্বারকে তিনি পাত্তা দেননা। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামের চিঠি আমাদের দেননা। আমরা জানতে ও পারিনা কোথায় কি হচ্ছে। বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারের বিভিন্ন বরাদ্দকৃত প্রকল্পের চেক নিতে তাকে নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন দিতে হয়। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ নিতে আসা লোকদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন করে আমাদের বেকায়দায় ফেলেন। আমরা প্রতিবাদ করলে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমাদের ভয় দেখায়। তার কাছে পুরো পরিষদ জিম্মি।

চাকমার কুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান- উক্ত সচিব দীর্ঘদিন যাবৎ এ পরিষদে আছে। সচিবের নানা অনিয়ম নিয়ে মেম্বারগণ অভিযোগ করে আসছেন বহুদিন যাবৎ। গেল কয়েকদিন মেম্বারগণ পরিষদে ও আসছেনা।

বিষয়টি আমি এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয়কে জানিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসছেন তাই তিনি ব্যস্ত। এমপি সাহেব ফ্রী হলে একটা ব্যবস্থা আমরা বসে করব। পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সচিবের বিষয়ে একটা সুরাহা হওয়া দরকার। জনগণকে তো কষ্ট দেয়া যাবেনা।

এ বিষয়ে জানতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা কে একাধিকবার কল দেয়া হয়। কল রিসিভ না করায় ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর মেলেনি।

চাকমার কুল ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্যের দাবি দীর্ঘ ১ যুগের বেশি লুটেপুটে খাওয়া সচিব সরুপা পালকে যেন অনতিবিলম্বে অপসারণ করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সমস্যা ও হয়রানির শিকার সদস্য ও জনসাধারণ।

পাঠকের মতামত: